Some text..
Some other text..
HOME
জয়দেবপুরে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে
আজ শুক্রবার গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন।
গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জয়দেবপুর স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনে ভিড় কম ছিল। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টার (ট্রেন চালক) সহ চারজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, আহত চারজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিজিবি সদর দফতর জানায়, উদ্ধার অভিযানে দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য যোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ে দলে আছেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন
বাংলাদেশ সফরের জন্য টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে। জনাথন ক্যাম্পবেলকে চমকে দিতে সিকান্দার রাজার দল। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন এখনও জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেননি। 26 বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টিতে তিনবার ব্যাট করেছেন। জোনাথনও নিয়মিত লেগ স্পিন করেন।
১৫ সদস্যের দলে ফিরেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তাদিওয়ানাশে মারুমনি এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফারাজ আকরাম। দলের বাকি সবাই গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন।
জনাথন ক্যাম্পবেল, যিনি তার অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন, এবং দুই তরুণ খেলোয়াড়, ক্লাইভ মাদান্ডে এবং ব্রায়ান বেনেট, গত মাসে আফ্রিকান গেমসে জিম্বাবুয়ে উদীয়মান দলে ছিলেন। সেই খেলায় জিম্বাবুয়ে সোনা জিতেছিল।
এফএ কাপের ফাইনালে চেলসিকে হারিয়েছে সিটি
গত সপ্তাহে ইতিহাদে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। হাতে আছে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ। আজ সে পথে বড় এক ধাপ এগিয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার দল।
ওয়েম্বলিতে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে সিটির জয়ের গোলটি করেন বের্নার্দো সিলভা।
শেষ দিকে জয়ের গোলটা সিটি করলেও ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। প্রথমার্ধে সিটি বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও লক্ষ্যে একটিও শট রাখতে পারেনি। কিন্তু ওই সময় চেলসির লক্ষ্যে শট ছিল ৩টি।
সিটির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে চেলসি সিটির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে চেলসিএএফপি এর মধ্যে ২৯ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান নিকোলাস জ্যাকসন। সেনেগালের এই স্ট্রাইকার সিটি গোলকিপার স্তেফান ওর্তেগাকে একা পেলেও শট নিতে দেরি করায় সুযোগ নষ্ট করেন।
প্রথমার্ধে সিটিও অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল। ১৪ মিনিটে সেটি নষ্ট করেন ফিল ফোডেন। সিটির আক্রমণ গতি পায় দ্বিতীয়ার্ধে জ্যাক গ্রিলিশকে উঠিয়ে জেরেমি ডকুকে নামানোর পর। ৮৪ মিনিটে সিলভার গোলটি আসে কেভিন ডি ব্রুইনা দারুণ ক্রসের সুবাদে। ডি ব্রুইনা চেলসি বক্সের ভেতর থেকে ক্রস বাড়ালে সেটি গোলকিপার পেত্রোভিচ পা রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে যায় সিলভার কাছে। জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে সিটি উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি।
সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে না পারার হতাশা চেলসির খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে না পারার হতাশা চেলসির খেলোয়াড়দেরএএফপি গত বছর এফএ কাপের ট্রফি জেতা ম্যান সিটি এ নিয়ে তৃতীয়বার টানা দুই বছর ফাইনালে উঠল। আগের দুটি ছিল ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৫৫-৫৬ সালে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ হবে রোববার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-কভেন্ট্রি সিটির মধ্যে জয়ী দল।
কীভাবে ইস্তিগফার করবেন
ইস্তিগফার মানে হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ হলেন ‘গাফির’ ক্ষমাকারী, ‘গফুর’ ক্ষমাশীল, ‘গফফার’ সর্বাধিক ক্ষমাকারী। ইস্তিগফার একটি স্বতন্ত্র ইবাদত; কোনো গুনাহ বা পাপ মাফ করার জন্য এই ইবাদত করা হয় না। যেমন নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি ইবাদত দ্বারা গুনাহ মাফ হয়; কিন্তু এসব ইবাদত করার জন্য গুনাহ করা শর্ত নয়। তওবা ও ইস্তিগফার আল্লাহ তাআলার অতি পছন্দের একটি ইবাদত। তাই প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। অনুরূপ ইমানের পর নামাজ প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও এই নামাজ আদায়ের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া সুন্নত। অর্থাৎ ইস্তিগফার শুধু পাপের পরে নয়, ইবাদতের পরেও করা হয়। যেমন হজের পর ইস্তিগফার করা বিষয়ে কোরআনে উল্লেখ আছে, ‘(হজ শেষে) তারপর তোমরা বেরিয়ে পড়ো, যেভাবে মানুষ চলে যাচ্ছে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৯)। ইস্তিগফার সম্বন্ধে কোরআনে আছে, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি মহাক্ষমাশীল।’ (সুরা নুহ, আয়াত: ১০)। ‘অতঃপর তোমার রবের প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো।’ (সুরা-১১০ নাসর, আয়াত: ৩)। ‘আর আল্লাহ তাআলা আজাব দেবেন না তাদের, আপনি তাদের মধ্যে থাকা অবস্থায়; আর আল্লাহ তাদের আজাব দেবেন না, যখন তারা ইস্তিগফার করে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৩৩)। ইস্তিগফার সম্পর্কে হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে যত মুমিন বান্দার জন্য ইস্তিগফার করবে, সে তাদের সবার সমপরিমাণ নেকি লাভ করবে।’ (সিয়ারে কাবির, তাবরানি)।
যান চলার জন্য উন্মুক্ত হলো গাজীপুর-বিমানবন্দর পথের সাতটি উড়ালসড়ক
গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় বিআরটি, গাজীপুর-হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথের সাতটি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে ঢাকায় সচিবালয়ের সভাকক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উড়ালসড়কগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে উদ্বোধন নয়, উন্মুক্ত করা হলো সাতটি উড়ালসড়ক। এগুলো উন্মুক্তের ফলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়েছে, এবার আর তা হবে না। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের বাস চলাচল করবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পের কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তি হয়েছে। আশা করি আর হবে না। আমিও অন্তত ৫০ বার এই প্রকল্প দেখতে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন নেতিবাচকভাবে না নিয়ে একটু ভাবুন। দেখুন, এতগুলো প্রজেক্ট হয়েছে, এর মধ্যে একটি প্রজেক্ট একটু সমস্যা হয়েছে। এটি আমরা স্বীকারও করেছি এবং সমস্যাটি কোথায় সেটিও বলেছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা বাজেটের প্রকল্পটির কাজ ১২ বছর পর ৯১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আজ এই প্রকল্পের আটটি উড়ালসড়কের মধ্যে সাতটি উন্মুক্ত করা হলো। তবে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উন্মুক্ত হওয়া উড়ালসড়কগুলোর মধ্যে আছে ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যের বিমানবন্দর উড়ালসড়ক (বাঁ ও ডান পার্শ্ব), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদ্দীন উড়ালসড়ক, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-১ গাজীপুরা উড়ালসড়ক, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উড়ালসড়ক, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের চৌরাস্তা উড়ালসড়ক।
উড়ালসড়কগুলো উন্মুক্ত ঘোষণার সময় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সড়ক) এ এস এম ইলিয়াস শাহ্, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন ও আবদুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত, পেঁয়াজ রপ্তানি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দিল্লির এই সিদ্ধান্ত এল, যা অনেককে অবাক করেছে। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। গত ডিসেম্বরে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, যার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের ব্যবসায়ীরা আশা করছিলেন যে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বরং দ্রুত তুলে নেওয়া হবে, কারণ রপ্তানি বন্ধ করার পর স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে এসেছে।
তবে শুক্রবার দিন শেষে সরকার এক আদেশ জারি করে বলেছে যে রপ্তানির ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মুম্বাইভিত্তিক এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো এবং এর কোনো দরকার ছিল না। কারণ, চলতি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসার কারণে সরবরাহ বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসছে।’
ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয় মহারাষ্ট্রে। মুম্বাইয়ের ওই রপ্তানিকারক জানান, ওই রাজ্যের কিছু পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের দাম ১ হাজার ২০০ রুপিতে নেমে এসেছে। গত ডিসেম্বরে এই দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ রুপি।
উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা
দেশের উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। যে এলাকাগুলোর পুকুরে মাছ চাষে লবণ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার কাছাকাছি ভূগর্ভস্থ পানি পরীক্ষা করে লবণাক্ততার উচ্চ মাত্রা পেয়েছেন সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা বৃদ্ধি ইতিমধ্যে বড় ভাবনার বিষয়। কিন্তু উপকূল থেকে অনেক দূরের উত্তর জনপদে লবণাক্ততার এ চিত্রকে ‘বিস্ময়কর’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলছেন পানি, মাটি ও পরিবেশবিজ্ঞানীরা। সুপেয় পানি, চাষাবাদ, সর্বোপরি উত্তরের মানুষের জীবনযাপনের ওপর লবণাক্ততা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
এ অবস্থার মধ্যে আজ ২২ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শান্তির জন্য পানি’।
তখন একটু খটকা লাগায় নতুন আরেকটি মেশিন দিয়ে পানি পরীক্ষা করি। আবারও একই ফলাফল পেলাম। যেখানে পরীক্ষাটি করা হয়, এর পাশেই ছিল মাছ চাষের পুকুর। স্থানীয় পুকুরের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, পুকুরে বিশেষ করে শীতের সময় মাছের একধরনের রোগ প্রতিরোধে লবণ দেওয়া হয়। তখন সন্দেহটা আরও পোক্ত হলো। ভাবলাম এ নিয়ে বড় কাজ করা দরকার।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূগর্ভস্থ পানিবিজ্ঞান দপ্তর দেশের প্রায় এক হাজার এলাকা থেকে নিয়মিত পানির নমুনা সংগ্রহ করে। মাস ছয়েক আগে উত্তরাঞ্চলের পানির স্তরে লবণাক্ততার পরিমাণ হঠাৎ করেই একটু বেশি দেখা যায়। পানিবিজ্ঞান দপ্তরের পরিচালক আনোয়ার জাহিদ বিষয়টি লক্ষ করেন। তিনি বলছিলেন, ‘তখন একটু খটকা লাগায় নতুন আরেকটি মেশিন দিয়ে পানি পরীক্ষা করি। আবারও একই ফলাফল পেলাম। যেখানে পরীক্ষাটি করা হয়, এর পাশেই ছিল মাছ চাষের পুকুর। স্থানীয় পুকুরের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, পুকুরে বিশেষ করে শীতের সময় মাছের একধরনের রোগ প্রতিরোধে লবণ দেওয়া হয়। তখন সন্দেহটা আরও পোক্ত হলো। ভাবলাম এ নিয়ে বড় কাজ করা দরকার।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি
বাজারে নিত্যপণ্যের সরকারি দর কেউ মানছে না
রাজধানীর শাহজাহানপুর বাজারে গতকাল শনিবার দুই কেজি আকারের একটি ব্রয়লার মুরগি কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী মিরাজুল ইসলাম। বেশ দর-কষাকষি করে তিনি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমাতে সমর্থ হয়েছেন। দর পড়েছে ২১০ টাকা। মিরাজুল প্রথম আলোকে বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে তিনি ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে কিনেছিলেন। রোজা এলেই সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৪৬ টাকা। তারা উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৭৫ টাকা। যদিও ঢাকার চারটি বাজার এবং বিভাগীয় শহরের বাজার ঘুরে গতকাল কোথাও নির্ধারিত দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
বিশেষ ধারে পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের তারল্যে উন্নতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তারল্য–সহায়তায় ইসলামী ধারার পাঁচটি ব্যাংক বড় ঘাটতি থেকে হঠাৎ বড় ধরনের উদ্বৃত্ত অবস্থায় এসে গেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনমতে, তারল্য উদ্বৃত্ত হলেও শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক আমানতে পিছিয়ে পড়েছে। অর্থাৎ প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে যে হারে আমানত বেড়েছে, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে সে হারে বাড়েনি। মূলত শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংকে সংঘটিত নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর আমানতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে সংকট থেকে উদ্বৃত্ত অবস্থায় আসা পাঁচ ব্যাংকের বাইরের অন্য ব্যাংকগুলো হচ্ছে আইসিবি ইসলামিক, এক্সিম, শাহ্জালাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
হাতির গল্প
হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মের আগের ঘটনা। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার। তিনি পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় আবরাহা ছিলেন ইয়েমেনের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা। তিনি ছিলেন হস্তীবাহিনীর প্রধান। আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র এবং সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরাহা ঈর্ষায় ফেটে পড়েন। তিনি কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিলেন। আশা করেছিলেন, মানুষ এখানে আসবে। নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেন। তিনি বিশাল বিশাল ৯ থেকে ১৩টি হাতি এবং ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা দেন। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তীবাহিনীর বছর নামে ডাকা হয়।
Friend Request